Description
ইসলামের ৫টি ভিত্তির মধ্যে কালেমা তাইয়েবার পরই নামাযের স্থান। যারা নিজেদেরকে মুসলমান মনে করে, তারা নামায সবাই না পড়লেও এটাকে আল্লাহর হুকুম বলে স্বীকার করে। যারা নিয়মিত নামায আদায় করে তাদের সংখ্যা নগণ্য নয়। কুরআন ও হাদীসে নামাযের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সব নামাযীর জীবনে পূরণ হয় না কেন?
আমাদের নামায শিক্ষার পদ্ধতিটিই অপূর্ণ। নামাযে কিরাআত ও তাসবীহসমূহ শুদ্ধ করে পড়া এবং রুকু-সিজদা সুন্দরভাবে আদায় করা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যথাস্থানে রাখা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হয়। এটুকু শিক্ষাও অনেক নামাযীর নেই। মসজিদে নামাযীদের দিকে লক্ষ্য করলেই তা বুঝা যায়।
নামাযে যা পড়তে হয় তা যারা শুদ্ধ করে পড়তে ও রুকু-সিজদা সঠিকভাবে আদায় করতে শিখেছে, তারাও নামাযে কোন্ অবস্থায় মনে কী খেয়াল করতে হবে তা শেখার সুযোগ পায়নি। এ বিষয়ে সাধারণত শিক্ষা দেয়াই হয় না। ফলে নামায আদায় করার সময় মনটা খালি থেকে যায়। দেহটা জায়নামাযে থাকলেও মনটা নামাযের বাইরে বিচরণ করে। মন খালি থাকলে শয়তানের কারখানায় পরিণত হওয়াই স্বাভাবিক।
এ কারণেই শয়তান যাদেরকে নামায পড়া থেকে ফিরাতে পারে না, তাদের নামায নষ্ট করার সুযোগ সহজেই পেয়ে যায়। মনটাকে নামাযের সময় কোন ভাবনায় নিয়োগ না করায় শয়তান নামাযীর মনে নামাযের বাইরের হাজারো কথা হাযির করে।
আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা নামাযে যা কিছু করি, তাতে শুধু নামাযের দেহ তৈরি হয়। মানুষের প্রাণহীন দেহ যেমন কোন কাজে লাগে না, প্রাণহীন নামাযও নামাযের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে না। তাই আমাদের নামাযকে জীবন্ত নামাযে পরিণত করতে হবে। যারা জীবন্ত নামাযের অধিকারী হতে চান, তাদের জন্য এ বইটি সহায়ক হবে বলে আশা করি।
Reviews
There are no reviews yet.